ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন বঞ্চিত বিধবার
১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
জান্নাতুল ফেরদৌস, একজন বিধবা, যিনি তার প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তি থেকে তাকে ও তার সন্তানদের বঞ্চিত করার জন্য সংগঠিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আজ তিনি গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন কীভাবে ডিবির সাবেক কর্মকর্তা হারুনের মাধ্যমে কবির আহমেদ, বিদ্যুৎ ঘোষ, মুসা আহমেদ এবং তাদের সহযোগীরা তার প্রতি কিভাবে অবিচার করে চলেছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার নিকট ন্যায়বিচারের আকুল আবেদন জানিয়েছেন এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী হাসান আহমেদ বাংলাদেশের বীমা খাত ও ব্যবসায়িক জগতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একজন জুট মিল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং জুট রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতেন। ২০২০ সালে স্ট্রোকের কারণে হাসান আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তখন থেকেই তার সহকর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ এবং তার ভাই কবির আহমেদ তার সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
হাসান আহমেদের অসুস্থতার সময় বিদ্যুৎ ঘোষ তার অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ফাইল সরিয়ে নেন। এ নিয়ে হাসান আহমেদ মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ১৩৪) করেন। বিদ্যুৎ ঘোষ ও কবির আহমেদের নেতৃত্বে তাকে তার ব্যক্তিগত অফিস এবং পৈত্রিক বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি হাসান আহমেদ প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর বিদ্যুৎ ঘোষ, কবির আহমেদ, এবং তাদের সহযোগীরা জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে, যা পরে পল্টন থানার পুলিশ মিথ্যা প্রমাণ করে।
যদিও পল্টন থানার পুলিশ জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার পরিবারকে নির্দোষ ঘোষণা করে, বিদ্যুৎ ঘোষ এবং তার সহযোগীরা ডিবি হারুনের মাধ্যমে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ঘোষকে তার দেবর মুসা আহমেদ বেইলি রোডে তিন কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট উপহার দেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস একাধিকবার প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছেন, কিন্তু কোনো সহায়তা পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩ জুলাই, ২০২৪ তারিখে তিনি বিদ্যুৎ ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা (মামলা নং ২) করেন। যদিও বিদ্যুৎ ঘোষকে আটক করা হয়, তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে সম্পত্তি ফেরতের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
আগামী ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে নবম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা, জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার ডিসচার্জ শুনানি হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন, তার পরিবারকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য।
জান্নাতুল ফেরদৌস, যার ছোট ছোট সন্তানরা তাদের পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত, তার পরিবার ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা, এবং হয়রানিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকার, গণমাধ্যম এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে বিদ্যুৎ ঘোষ গংদের দ্রুত গ্রেফতার ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার দাবিতে প্রশাসনের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার
নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত
নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত
হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা
মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়
উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার
মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি
নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার
‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড
স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করার আগে স্ত্রী মারা যাওয়া প্রসঙ্গে।
দাম কমল বিকনলিংক ফিচারযুক্ত অপো ফোনের